বৈজ্ঞানিক ও স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে কম্পিউটারের আসন বিন্যাস।


COMMENT ME  

 নিয়ম মেনে চলুন, ভাল থাকুন।

বর্তমানে কম্পিউটারের ব্যবহার বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। স্কুল-কলেজ, বিপনি বিতান(মুদি দোকান সহ), অফিস-আদালত, শিল্পকারখানা, নৌ-যান, বিমান, বাসা-বাড়ি এমন কি রিকসার যে গ্যারেজ তাতেও রয়েছে মাল্টিমিডিয়া পিসি। তাই কম্পিউটার ব্যবহারের পাশাপাশি বেড়েছে এর ব্যবহার কারীর দীর্ঘক্ষন ধরে ব্যবহার করার প্রবণতা। এই দীর্ঘক্ষন পিসি ব্যবহার করার জন্য আপনার দেহে নানা রকম সমস্যা তৈরী হতে পারে। তবে আপনি যদি আপনার কম্পিউটারের আসন
বিন্যাসটা বৈজ্ঞানিক ও স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে তৈরী করে নিতে পারেন, তাহলে এই সকল সমস্যা হতে অতিসহজেই মুক্তি পেতে পারেন। নিচের পরবর্তি লাইন গুলোতে স্বাস্থ্য উপযোগী আসন বিন্যাসের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে আলোকপাত করা হল:

১.    ব্যবহারকারীর চোখ হতে মনিটরের দূরত্ব হওয়া উচিৎ ২০-২৪ ইঞ্চি বা ৫০-৬০ সেন্টিমিটার। চেয়ারে বসা অবস্থায় হাত সোজাসুজি সামনের দিকে ধরে বৃদ্ধাঙ্গুলি বরাবর দূরত্ব ধরে আনুমানিকভাবে ২০ ইঞ্চি পরিমাপ করা হয়।

TIPS GIVEN BY NASIR
২.    মনিটরের উচ্চতা এমন হওয়া উচিৎ যাতে স্ক্রীনের উপরিভাগ ও ব্যবহারকারীর চোখ একই সমতলে থাকে। স্ক্রীনের মাঝামাঝি অংশে দেখার জন্য ব্যবহারকারীর চোখ সামান্য নিচের দিকে তাকানো উচিত।

TIPS GIVEN BY NASIR

৩.    তীব্র বা অসহনীয় আলো পরিহার করার জন্য মনিটরের উজ্জ্বলতা নিয়ন্ত্রন করা এবং কম্পিউটারের কক্ষের আলো সহনীয় বা কাজের উপযোগী করে ঠিক করে নেয়া উচিত। এবং রুমের ভেন্টিলেটর খুলে রাখা উচিত।

TIPS GIVEN BY NASIR

TIPS GIVEN BY NASIR
৪.    আলোর উজ্জ্বলতার কোন পরিবর্তন না হলে মনিটরকে পিছনের দিকে  থেকে ২০˚ কাত করা যেতে পারে। এতে মনিটরের উপর থেকে নিচের দিকে দৃষ্টিপাতের সময় মনিটর থেকে ব্যবহারকারীর চোখের দুরত্ব প্রায় সমান থাকবে। তবে দূরদৃষ্টি ও ক্ষীণদৃষ্টি উভয় সুবিধা সম্বলিত চশমা (bifocal) ব্যবহারকারীদের ক্ষেত্রে এই পরিমাপ ৩৩˚-৪৫˚ হওয়া উচিত।
TIPS GIVEN BY NASIR
৫.    কী-বোর্ডের মাঝামাঝি অংশ কনুই বরাবর থাকা উচিত। এতে ব্যবহারকারী স্বাচ্ছন্দ্যে দীর্ঘক্ষণ কাজ করতে পারবে।

TIPS GIVEN BY NASIR
৬.    কী-বোর্ড পিছনের দিকে ১০˚ হেলানো উচিত যাতে হাতের কব্জি সমান বরাবর থাকে।
TIPS GIVEN BY NASIR
৭.    অবিরাম কাজের সময় মাঝে মাঝে ২০ ফুট অধিক দুরের কোন কিছুর দিকে তাকানো উচিত। এতে চোখের উপর কম চাপ পড়বে এবং চোখ খানিকটা বিশ্রাম পাবে।
৮.   কাজের সময় মাঝে মধ্যে দাঁড়ানো কিংবা পিঠ ও বাহু টান টান করে নেয়া উচিত। এতে কোমর, পিঠ ও শরীরের নিম্নাংশে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক হবে এবং দীর্ঘক্ষণ কাজ করার ফলে সৃষ্ট পেশীরটান পড়া বা ব্যথা থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।

৯.    কাজ করা অবস্থায় অধিকাংশ সময় দৃষ্টি যেদিকে থাকে (যেমন: স্ক্রীন, উৎস ডকুমেন্ট প্রভৃতি) সেদিকে মাথা দিয়ে সোজা হয়ে বসা উচিত। অন্যথায় ঘাড় ব্যথা বা মাথা ব্যথা হতে পারে।

১০.   ব্যবহারকারী যাতে স্বাচ্ছন্দ্যে ও আরামে কাজ করতে পারে, এমন চেয়ার ব্যবহার করা উচিত। কী-বোর্ডের বরাবর হাত রাখার জন্য হাতাওয়ালা চেয়ার এবং পিছনে প্রয়োজনীয় সাপোর্টযুক্ত চেয়ার ব্যবহার করা উচিত।

TIPS GIVEN BY NASIR
১১.   দীর্ঘদিন ধরে একই আসনে কাজ করার ফলে পেশীতে অবসাদ বা ক্লান্তি আসতে পারে। এজন্য আসন বিন্যাস সঠিক থাকলেও মাঝে মধ্যে মনিটর কী-বোর্ড, চেয়ার ইত্যাদির বিন্যাসে কিছুটা পরিবর্তন আনা উচিত। তাই বলে মনিটরের অবস্থান কিন্তু পাশে রাখা যাবে না। ছবি দেখুন

TIPS GIVEN BY NASIR
১২.   পা রিল্যাক্স এবং সোজাসুজি রাখতে হবে। ছবি দেখুন:
TIPS GIVEN BY NASIR
১৩.   চেয়ারে আপনার বসার কৌনিক পরিমাপ টা একটু দেখুন
TIPS GIVEN BY NASIR
১৪.   ল্যাপটপ ব্যবহারকারীরা বিভিন্ন পরিবেশে বিভিন্ন অবস্থায় কাজ করলেও প্রয়োজন অনুযায়ী ও পরিবেশ উপযোগী করে আসন বিন্যাস ঠিক না করে দীর্ঘ সময় ধরে কাজ না করেন সেদিকটা নজর দেয়া উচিত।

সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ্য থাকবেন । আশা করবো সুন্দর একটা কমেন্ট করে উৎসাহ দিবেন। ধন্যবাদ।


পোষ্টটি লিখেছেন: মো: নাসির উদ্দিন

http://wwwpchelplinebd,com/?author=52 

Comments

  1. বৈজ্ঞানিক ও স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে কম্পিউটারের আসন বিন্যাস। - Blogs Tune >>>>> Download Now

    >>>>> Download Full

    বৈজ্ঞানিক ও স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে কম্পিউটারের আসন বিন্যাস। - Blogs Tune >>>>> Download LINK

    >>>>> Download Now

    বৈজ্ঞানিক ও স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে কম্পিউটারের আসন বিন্যাস। - Blogs Tune >>>>> Download Full

    >>>>> Download LINK 9a

    ReplyDelete

Post a Comment